কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:১৭ পিএম
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশ ছেড়ে পালালেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গঞ্জালেজ। ছবি : সংগৃহীত
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গঞ্জালেজ। ছবি : সংগৃহীত

উত্তেজনার মধ্যে ধেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডমুন্ডো গঞ্জালেজ। ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক উত্তেজনার একদিন পর তিনি দেশ ছেড়ে স্পেনে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে���

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রোদ্রিগেজ বলেন, রাজধানী কারাকাসে স্পেনের ‍দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে দেশটির সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এডমুন্ডো। কারাকাসও তাকে সেফ এক্সিট দিতে সম্মত হয়েছে।

ভেনেজুয়েলায় গত ২৮ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে মাদুরোকে জয়ী ঘোষণা করে কমিশন। বিজয়ী ঘোষণার পর বিস্তারিত ফলাফল ঘোষণা না করায় অস্থিরতা দেখা দেয়। বিরোধী পক্ষের দাবি, নির্বাচনে মাদুরোর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এডমুন্ডো বিজয়ী হয়েছেন।

স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোস মানুয়েল আলবারেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানান, এডমুন্ডো রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। তিনি স্প্যানিশ বিমানবাহিনীর বিমানে করে দেশ ছেড়েছেন। স্পেনের সরকার সমস্ত ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন এডমুন্ডো গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো। নিজ দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ দাবি করে মাদুরো বলেছিলেন, এবার যদি তিনি নির্বাচিত না হন, তাহলে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভোট গণনায় যাতে কোনো কারচুপি না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোতে হাজার হাজার ‘সাক্ষী’ মোতায়েন করেছিল। কিন্তু তাদের ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি করেছেন গঞ্জালেজ নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র।

দেশটির অনেক নাগরিকের দাবি, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকার সুযোগে নির্বাহী বিভাগের পাশাপাশি আইন ও বিচার বিভাগের ওপর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছে মাদুরোর দল। আর সেই প্রভাব নির্বাচনেও কাজে লাগিয়েছেন মাদুরো।

ভেনেজুয়েলায় ইলেকট্���নিক পদ্ধতিতে ভোট নেওয়া হয়। ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রটি প্রতিটি ভোটের জন্য একটি কাগজের রসিদও প্রিন্ট করে, যা পরে একটি ব্যালট বাক্সে রাখা হয়। আইন অনুসারে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলো প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের রসিদ গণনার জন্য সাক্ষী পাঠাতে পারবে।

বিরোধীদের দাবি, রসিদ গণনার কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে ও মুদ্রিত রসিদের এক তৃতীয়াংশেরও কম অংশ বিরোধীদের সাক্ষীর সামনে আনা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই’

৪৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত দিল মিয়ানমার

জুসে চেতনানাশক মিশিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, টাকা চুরি

কিশোরগঞ্জে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রচার দলের আর্থিক অনুদান 

ডেমরার পূজামণ্ডপে বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবী

কাঁচামরিচের কেজি ৫০০ টাকা

বিপিএল প্লেয়ার্স ড্রাফট, ক্রিকেটারদের নতুন ক্যাটাগরি ঘোষণা

ইসরায়েল ইস্যুতে আগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে এলো জার্মানি

চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের ছোট সংগ্রহ

১০

জুলাই-আগস্টের হত্যাকারীদের দ্রুত জামিন দুঃখজনক : আমিনুল হক 

১১

ইউএনএফপিএকে কোরিয়ান সরকারের ৩০ লাখ মার্কিন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি

১২

দেশে সব ধর্মের মানুষ এখন নিরাপদ : গয়েশ্বর

১৩

ব্রাজিল কি পারবে জয়ের ধারায় ফিরতে?

১৪

দুর্গোৎসব সম্প্রীতির বন্ধন আরও জোরদার করবে : গণতন্ত্র মঞ্চ

১৫

মাটিতে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তলসহ যুবক গ্রেপ্তার

১৬

‘বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রয়ণ করুন’

১৭

ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ওলামা দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন

১৮

আ.লীগ নেতা ডাবলু ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডে

১৯

মিরসরাইয়ে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

২০
X